নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর সাব-রেজিস্ট্রার এর কার্যালয় নকল নবীশদের নাম দিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে অফিস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। নিয়মিত অফিস না করেও প্রতি মাসে সরকারের টাকা আত্মসাত করাসহ নানা দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ। কর্মরত নকল নবীশরা জানান, দিনভর অফিস করে মাসে বেতন পাই ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর কিছু অসাধু কর্মকত ও কর্মচারীরা মাসের পর মাস অফিস না করেও প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা বেতন তুলেছে। নাম প্রকাশ না করে অনেক নকল নবীশরা জানান, পেশকার শাহিন ও নকল নবীশ আসাদ এরা দুজনে নকল নবীশদের বেতন ভাতার তালিকা করে। প্রতেক নকল নবীশদের নামে ডায়রি আছে যাহাতে তাদের কাজের মজুরী লেখা থাকে, কিন্তু ডায়রি সাথে বেতনের মিল না হওয়ায় অনেকের মধ্যেই সন্দেহ দেখা দেয়। তারা আরোও বলেন, কিছু কিছু নকল নবীশ অফিসে আসেনা তাদের নামে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেতন পাশ। অনুপস্থিত এমন কিছু নকল নবীশদের বেতন, তাছলিমা আক্তার ২৬৭৬৪ টাকা, রাসেল হাওলাদার ২০২৫৬ টাকা, সালমা খানন ২২৩৪৪ টাকা, লাভলী আক্তার ২৩৭৬৭টাকা, মোঃ গফফারের বেতন আসে ৭১৫২ টাকা। এছাড়া কর্মস্থলে অনেক নকল নবীশরা সপ্তাহে তিন দিনও অফিস করেন না তাদের নামে মোটা অংকের বেতন বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে অফিস চত্বরে হর-হামেশা উচ্চবাচ্য ও হট্টোগোলের ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দেখা যায়, অফিসের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে তারা গোপনে মিটিং করছে। সাংবাদিক দেখে কিছু অনিয়মের সাথে জরিত অফিস স্টাফরা উপরে উঠতে বাধা দেয় এবং ছবি তুলতে নিশেদ করে এমনকি তারা উচ্চকণ্ঠে বলতে থাকে অফিসের বিষয় বাহিরের লোকে জানলো কি করে। তবে পেশকার শাহিন সাব- রেজিস্ট্রারের সামনে বসে প্রতিনিধিকে বলেন, এর সাথে আমি একা জরিত না হুমায়ুন, জিয়া, জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার এবং ডিয়ার সহকারী সহ অনেকেই জরিত। অন্যদিকে অভিযুক্ত নকল নবীশ আসাদকে অফিসে পাওয়া যায়নি, তার সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিক বার ফোনে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অভিযোগের বিষয় ডিয়ার সহকারী নুসরাত প্রতিনিধিকে বলেন, আসলে ব্যাপারটি আমাদের অফিসিয়াল বিষয় আপনাদের এমন দরকার কি? প্রতিনিধি বলেন, তা হলে এমন দুর্নীতির বিষয়গুলো আপনি আগেই জানতেন। প্রতিনিধির এমন প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি ডিয়ার সহকারী নুসরাত। এ প্রসঙ্গে নকল নবীশ সমিতির সভাপতি নিজের নাম বলবেনা বলে জানান, তিনি বলেন জেলা রেজিস্ট্রার রবিবার অফিসে আসবেন তার পরে যা করার তিনিই করবেন। এর বাহিরে আমি কিছুই বলতে পারবো না। সে আরোও বলেন, তবে এর সাথে জারাই জরিত তাদের বিচার হবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল সদর সাব-রেজিষ্টার মোঃ ইউসুফ আলী বলেন, অনিয়মের বিষয়গুলো জেলা রেজিস্ট্রারকে অবগত করবো। স্যার রবিবার অফিসে এসে এর সাথে জরিতদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া সেটা তিনি নিবেন। অফিসে জেলা রেজিস্ট্রারকে পাওয়া যায়নি, এবং নিউজ লেখা পর্যন্ত তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply